নগর পরিক্রমা : ওয়ার্ড ১১
এম সাইফুল ইসলাম
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) ১১ নম্বর ওয়ার্ডে নারী শিক্ষাকেন্দ্র কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের ভবন নির্মাণে ধীরগতি চলছে। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। নেই নিরাপত্তা প্রহরী। ওয়ার্ডজুড়েই মাদকের ছড়াছড়ি, রয়েছে জুয়ার আখড়া। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব প্রকট, ড্রেনেজ ব্যবস্থাও নাজুক, সুপেয় পানির সঙ্কট তীব্র।
১১নং ওয়ার্ডের উত্তরে বিআইডিসি রোড, দক্ষিণে টিঅ্যান্ডটি রোড, খালিশপুর ঈদগাহ, পূর্বে ফায়ার সার্ভিস ও প্লাটিনাম জুট মিল কলোনী, পশ্চিমে পিপলস গোল চত্বর আর ওয়ান্ডারল্যান্ড শিশুপার্ক। ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ২৫০ জন। এ ওয়ার্ডের আওতায় রয়েছে পিপলস নতুন কলোনী, পিপলস পাঁচতলা, প্লাটিনাম শ্রমিক কলোনী, খালিশপুর নিউমার্কেট ও তৈয়্যেবা কলোনী।
নগরীর পিছিয়ে পড়া নারীদের এগিয়ে নিতে ভারত সরকারের অনুদানে খালিশপুর কলেজিয়েট গার্লস স্কুলের কাজ শুরু করে। এই বছর ডিসেম্বর মাসে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও অর্থপ্রাপ্তিতে দেরি ও ধীরগতির কারণে তা সম্ভব নয়। ফলে নারী শিক্ষা মন্থর গতিতে রয়েছে খালিশপুরবাসীর।
সরেজমিন দেখা যায়, পিপলস পাঁচতলা কলোনীর মধ্যে রাস্তাঘাট নাজুক। যা চলাচলের অনুপযোগী। সামান্য বৃষ্টিতে পিপলস নিউ কলোনীতে পানি জমে। রাস্তাঘাটের যেখানে সেখানে ময়লা আবর্জনা ও উন্মুক্ত ডাস্টবিন।
স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ সালমান বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়নের ফলে সামান্য বৃষ্টিতেই পানিবন্দী হয়ে পড়ে ওয়ার্ডবাসী।
মোঃ খাইরুল আলম বলেন, নারী শিক্ষার জন্য খুলনা শহরে একটা কলেজ থাকলেও খালিপুরে কোন আলাদা কলেজ নেই। তাদের এগিয়ে নিতে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলেও নানা কারণে তা রয়েছে পিছিয়ে।
বর্তমান কাউন্সিলর সরদার ইউনুস আলী বলেন, দেরিতে অর্থ প্রাপ্তির কারণে কলেজিয়েট স্কুলটি নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। বিগত দিনে জনগণের পাশে ছিলাম এখনও আছি আশা করি জনগণ তার মূল্যায়ন করবে।